শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নোয়াখালীর ভাসানচর পাঠাতে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে তৃতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের বহনকারি ৩৮ টি বাস ছেড়েছে; এতে অন্তত এক হাজার ৭৮০ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা ২০ মিনিটে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠ থেকে প্রথম ধাপে ১৭ টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ২১ টি বাস রওনা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় দোকানী আবুল কালাম।
তবে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যাওয়া এসব বাসে কি পরিমান রোহিঙ্গা রয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
কিন্তু তৃতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের ব্যাপারে বরাবরের মত এবারও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যাওয়া এসব বাসে অন্তত এক হাজার ৭৮০ জন রোহিঙ্গা রযেছে।
রোহিঙ্গাদের বহনকারি বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন এবং গত ২৮ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৫ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য বুধবার রাতেই উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। রাতেই উখিয়া ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো করা হয় অন্তত ৫০ টি বাস।
স্থানীয় মুদির দোকানী আবুল কালাম বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা ২০ মিনিটে প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের বহনকারি ১৭ টি বাস ছেড়ে যেতে দেখেছেন।
উখিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক শফিক আজাদ বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম ধাপে ১৭ টি এবং বিকাল ৩ টা ১০ মিনিটে দ্বিতীয় ধাপে ২১ টি বাস রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে রওনা দিয়েছে। উখিযা ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে অন্তত আরো ১০/১৫ টি বাস রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেতে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় এ সাংবাদিক বলেন, “ নানা সূত্রে তথ্য পেয়েছি, তৃতীয় দফায় স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ২ হাজার ২২৪ জন রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছে। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৭৮০ জনকে বাস যোগে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরো অন্তত ৪৪৪ জন রোহিঙ্গা কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থান করছে। তাদেরকে শুক্রবার চট্টগ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ”
ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাস পর্যন্ত এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। সেখানে সাধারণ মানুষের চলাচলেও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনানুষ্ঠানিক বক্তব্যে জানান, তৃতীয় দফায় স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহী অন্তত দুই সহস্রাধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে দেড়-সহস্রাধিককে বৃহস্পতিবারই বাস যোগে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছায় যেতে নিবন্ধিত আরো কিছু রোহিঙ্গা ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থান করছে।
শুক্রবার সেখান (ট্রানজিট ক্যাম্প) থেকে এসব রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্য়ালয়ের ওই কর্মকর্তা।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply